ইত্তিজা হাসান মনির, বরগুনা প্রতিনিধি।
রবগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মোঃ সোহেল খানকে অভিযোগের মাত্র ত্রিশ মিনিটের মধ্যেই থানা পুলিশ গ্রেফতার করার খবর পাওয়া গিয়েছে। বরগুনার সুশিল সমাজের লোকজন বলেছেন এভাবে অভিযোগ দায়েরে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সফল অভিযান পরিচালিত হলে অন্যায় আরো কমে আসবে বলে আমরা মনে করি। মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোকেট জনাব হুমায়ুন কবির মুন্সি বলেন এত তাড়াতারী আসামী গ্রেফতার হয়েছেন বলে বরগুনা সদর থানার সকল কে ধন্যবাদ জানান।
এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খানের ছেলে সোহেন খান, সদর উপজেলায় তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত অভিযোগ রয়েছে। বরগুনা সহ বিভিন্ন এলাকায় চাকরী দেয়ার নামে টাকা নেয়া, নারীদের কে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে রাত কাটানোই সোহেল খানের নিত্য দিনের রুটিন হয়ে দাড়িঁয়েছে।
গঠনার আগে সোহেল সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের হিন্দু পরিবারের মেয়েকে চাকরী দেয়ার নাম করে বরিশাল নিয়ে যায় এবং রাত্রি যাপনে বাধ্য করে চাকরী প্রত্যাশি মেয়েটিকে।
পরবর্তিতে মেয়েটি বুঝতে পারে, আসলে তাকে চাকরী দেয়ার নাম করে সোহেল এখানে নিয়ে এসেছেন। মেয়েটি তার বান্ধবীদের সহযোগীতায় বরগুনার বদরখালী নিজ বাড়ীতে চলে আসেন। বরগুনা জেলা শ্রমীক লীগের আহবায়ক আব্দুল হালিম মোল্লা এবং সদর উপজেলা শ্রমীক লীগের সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম পলাশ বিষয়টি জানতে পেরে বরগুনা সদর সার্কেল এএসপি মেহেদী হাসান কে অভিহিত করলে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম একদল ফোর্সসহ ধর্ষক সোহেল খান কে ধরতে সক্ষম হয়।
বদরখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান রাজা বলেন অন্যায়কারী কাহাকেও ছাড় দেয়া হবেনা।
বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকল ইসলাম বলেন আমরা সোহেলকে ধরতে সক্ষম হয়েছি, কোন অন্যায়কারী পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাবেনা,সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা প্রকৃয়াধীন আছে।
Leave a Reply