মুঃ মনিরুজ্জামান মুনির,নলছিটিঃ-
ঝালকাঠির নলছিটিতে করোনা আক্রান্ত এক মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সস্ত্রীক করোনা পজিটিভ হয়ে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় গত ১৫ আগষ্ট নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুযোগ সুবিধা পেলেও তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেফার্ড করে। সেখানে ১৭ আগষ্ট করোনা ইউনিটের ৪র্থ তলায় তাদের জেনারেল বেড প্রদান করা হয়। তাদের দু’জনকে প্রতিদিন নাভীতে ও স্যালাইনে যে ইনজেকশন দেয়া হয় তা বাইরে থেকে ক্রয় করতে ১০ হাজার টাকা লাগে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হাসপাতাল থেকে তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা তাদেরকে দেয়া হচ্ছে না বলে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র রুহুল আমিন বিপ্লব জানিয়েছে। অর্থাভাবে তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক ও তার মাতাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে কেঁদে দেয় বিপ্লব। প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতা নলছিটি উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সাবেক সদস্য ছিলেন। তার অসুস্থতার কথা ইতিমধ্যে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সফল খাদ্য ও শিল্প মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু কে অবহিত করা হয়েছে বলে বিপ্লব জানিয়েছে। এছাড়াও ঝালকাঠি জেলা ও নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগ, নলছিটি পৌর মেয়রসহ অনেককেই জানিয়েছেন। সকলেই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু একমাত্র কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর শিকদার ৫ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেহ তার চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধার পুত্র নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ওয়ার্ড বয় পদে চাকুরীতে নিয়োজিত বিপ্লবের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয়ভার নির্বাহ সম্ভব হচ্ছে না। বিপ্লব তার পিতা-মাতার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সকলের সাহায্য কামনা করে তার নগদ একাউন্ট -০১৭৪৮৭১৩৯৫১ নম্বরে প্রেরণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply