নিজস্ব প্রতিবেদক।
বরিশাল নগরীর আছমত আলী খান (এ.একে) ইনস্টিটিউশনের দুটি শ্রেণিকক্ষ সাবেক প্রধান শিক্ষক (সাময়িক বরখাস্ত) এইচএম জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন দখল রেখে বসবাস করায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বছর দুয়েক পূর্বে প্রধান শিক্ষকের বাসাটি পুনরায় নির্মান লক্ষ্যে ভেঙ্গেফেলায় তৎকালীন স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে শ্রেণিকক্ষে থাকার অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও এইচএম জসিম উদ্দিনকে দূর্নিতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করলেও তিনি শ্রেণিকক্ষেই বসবাস করে আসছেন। করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি খোলার পূর্বে সাবেক এই প্রধান শিক্ষকে শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে দিতে অন্তত তিন দফা নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ ছাড়াতো দূরের কথা, তিনি এই বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্যই করেননি। তবে সাবেক এই প্রধান শিক্ষক এ প্রতিবেদকের কাছে দাবী করলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বরখাস্ত এবং থাকার জন্য দেয়া শ্রেণিকক্ষ থেকে অপসারন করার ইখতিয়ার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি রাখে না।(ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহম্মেদ জানিয়েছেন, সাবেক শিক্ষকের শ্রেণিকক্ষের বসবাসে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ইতিমধ্যে তিন দফা নোটিশ দেওয়া হয়েছে কক্ষদুটি ছেড়ে দেওয়ার তাগিদে। কিন্তু তারপরেও জোর করে শ্রেণিকক্ষে সাবেক প্রধান শিক্ষক। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা মুখি অভিযোগের একটি মামলা পুলিশি তদন্তধীন রয়েছে।
বশির উদ্দিন অভিযোগ করেন ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসা এইচএম জসিম উদ্দিন নানান দূর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন। গত বছর হাসান মাহমুদ বাবু এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি (এডহক কমিটি) সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিলে তার অনিয়ম দূর্নীতি ধরা পড়ে এবং তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করার পাশাপাশি আদালতে দূর্নীতির মামলাও করা হয়। যদিও জসিম উদ্দিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করাকে আইনসিক্ত নয় দাবী করে আদালতে একটি কাউন্টার মামলা করেন। এইদুটি মামলাই এখন পর্যন্ত তদন্তধীন বলে জানা গেছে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিন্যদাবী করেন যেহেতু উভয় পক্ষের দুটি মামলা আদালতে চলমান সেক্ষেত্রে যে রায় আসে তা তিনি মেনে নেবেন। কিন্তুু মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাসা ছাড়ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
তবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির (এডহক কমিটি) সভাপতি মোঃ হাসান মাহামুদ বাবু শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিন কে শ্রেণিকক্ষ থেকে অপসারনের ক্ষেত্রে শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই বিষয়ে জানতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
Leave a Reply