মহামারী প্রাণঘাতী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বরিশালের আর্টিস্ট মাহবুব আলমকে জেলা প্রশাসক ও এসএসসি ৯১ ব্যাচের পক্ষ থেকে কম্পিউটার প্রদান করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে ‘মেয়ের জন্য দুধ কিনতে আর্টিস্ট বাবা রিকশা নিয়ে রাস্তায়’ শিরোনামে ভিডিও সহ একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সংবাদটি জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার’র দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার’র পক্ষ থেকে শিশু মেয়েটির জন্য দুধ কিনতে না পারা সেই আর্টিস্ট বাবাকে সহায়তা পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর পক্ষ থেকে মাহবুব আলমের স্ত্রী ঝুমুর হাওলাদারের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা উপহার ও শিশুর দুধ কেনার জন্য নগদ অর্থ তুলে দেন।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সহায়তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। আজ ১৪ আগস্ট সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সেই আর্টিস্ট বাবা মাহবুব আলোমকে জেলা প্রশাসক বরিশাল ও এসএসসি ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তার কর্মজীবনের জন্য একটি কম্পিউটার প্রদান করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার এনডিসি বরিশাল মোঃ নাজমূল হুদা, প্রবেশ অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সাজ্জাদ পারভেজ, বরিশাল সরকারি জিলা স্কুলের এসএসসি ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী দিপু হাফিজুর রহমান প্রমূখ। আর্টিস্ট মাহবুব আলোম ১৯৯১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তির্ন হয়ে আর পড়াশোনা করার সুযোগ হয়নি। এর পারে জীবিকার প্রয়োজনে আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করে।
বরিশাল কালিবাড়ি রোডে তার আর্টের একটি দোকান ছিলো সেখানে সিল কাটানো, ব্যানার করা, সাইনবোর্ড লেখার কাজ করতো তিনি। কিন্তু করোনার শুরুর দিকে তার দোকান চালানো কষ্টকর হয়ে পরে উপায়ন্ত না পেয়ে সেইসময় নিজের দোকানের প্রয়োজনীয় কম্পিউটারটি বিক্রি করে দেয়। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ কিছুদিন ধরে স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর ফলে আর্টিস্ট মাহবুব আলোম একদম বেকার হয়ে পরে।
পরিবার চালাতে না পড়ে নিজের দুই বছরের কন্যা শিশুর জন্য দুধ কিনতে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পরে। মেয়ের জন্য দুধ কিনতে আর্টিস্ট বাবা রিকশা নিয়ে রাস্তায়’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে সংবাদটি জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দার এর দৃষ্টিগোচর হলে তার আর্ট কাজের জন্য একটি কম্পিউটার প্রদান করা হয়।
Leave a Reply