ডেক্স রিপোর্ট।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিহ্নিত রোগী ধরা দালাল ও প্রতারক বিপ্লবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা।
সম্প্রতি দালালি সহ বিভিন্ন অপকর্মের কারণে হাসপাতালে পঞ্চম তলায় ইন্টার্নি চিকিৎসক গণধোলাই দেয়। এছাড়া হাসপাতালে দোতালায় প্যাথলজি বিভাগের দালালি কালে সিকদারপাড়া আজিমের হাতে গণধোলাই খায় বিপ্লব।
অন্যদিকে সম্প্রতি হাসপাতালে পঞ্চম তলায় দালাল ওরফে প্রতারক বিপ্লব পথ্য বিভাগ থেকে চুরি করে একসাথে অনেকগুলো ডিম খেয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
জানা গেছে, বিপ্লব দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ফুসলিয়ে ফাসলীয়ে পুলিশ কেস এর কাগজ ফটোকপি করে দিয়ে তাদের কাছ থেকে ২/৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে।এছাড়াও ওয়ার্ডে ভর্তিরত মারামারি রোগীদের নাম কাটলে তাদের পুনরায় ওয়ার্ডে রাখার জন্য ২ হাজার টাকা নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেক সময় মারামারি রোগীকে ভর্তি করে ভর্তির কাগজ ফটোকপি করে রোগীর স্বজনকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিয়ে তাকে তার মোটরসাইকেলে করে আদালতে নিয়ে যায়। পরে উকিলের কাছ মোয়াক্কেল ধরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে সেই উকিলের কাছ থেকেও কমিশন নিয়ে থাকে। সে দুদিকেই টাকা হাতিয়ে নিয়ে রোগীদের সর্বশান্ত করে দেয়। পরে বিপ্লব পালিয়ে গিয়ে তার গ্রামের বাড়ি
বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা থাকে। এদিকে রোগী ও স্বজনরা বিপ্লব দালালের খোজ না পেয়ে তাকে অভিশাপ দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। বাউফল উপজেলার রিকশাচালক আলাউদ্দিন প্যাদা বলেন, জমিজমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমরা হাসপাতালে ভর্তি হলে ইনজুরি নোট করে দেওয়ার কথা বলে বিপ্লব ২০০ টাকা নিয়ে যায়। পরে ২০০ টাকা ফেরত চাইলে হাসপাতাল থেকে আমাদের নাম কেটে দেওয়ার হুমকি দেয়। বাকেরগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ঝুমুর জানায়, তাকে ভর্তির কাগজ দেয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নেয় বিপ্লব।” এর আগে ভোলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক মহিলা রোগীর কাছে ইনজুরি নোট করে দেওয়ার কথা বলে বিপ্লব দালাল টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই নারী রোগীর তলপেটে লাথি মারে বিপ্লব। এ ঘটনায় ততকালীন কোতোয়ালি থানায় রোগী দালালের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন।”
এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে। শেবামেক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেনের সময় বিপ্লব দালালকে বরিশাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট অর্থদণ্ডাদেশ দেন। আটকের পর পরিচালক কার্যালয়ে সকল দালালদের সাথে বিপ্লব দালালকে হাঁটু গেরে বসিয়ে রাখা হয়। আর বিপ্লব দালালের হাটু গেরে বসে থাকা ছবি বরিশালের বিভিন্ন পত্রিকার চ্যানেলে একাধিক ফলাও করে ছাপানো হয়। এদিকে জানা গেছে, বিপ্লব দালাল তার বাসায় না গিয়ে দুপুরে রোগীদের বেডে ঘুমিয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বিপ্লব দালালের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচএম সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালে দালাল নিধনে খুব শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। “
Leave a Reply