ঝালকাঠি প্রতিনিধি।
ঝালকাঠির নলছিটিতে কাজ না করে পুরো বিল উত্তোলন করে লোপাট ঘটনা মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ঠেলায় পরে দুই বছর পর গত ২৬ এপ্রিল থেকে তড়িগড়ি করে সংাশ্লষ্ট নারী ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। কুলকাঠি ইউনিয়নের ‘পাওতা ধোপা বাড়ির সড়কে ইট সলিং করণ’ কাজটি শুরু করলেও যেনতেন ভাবে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডির উপজেলা সহকারী প্রকৌশল ও কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী ঠিকাদার লাভলী আক্তারের যোগসাযসে চাঞ্চল্যকর এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে জানাগেছে।
নলছিটি উপজেলার বার্ষিক উন্নয়ন সহায়ক কর্মসূচির (অউচ)র তালিকা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানভীর এন্ট্রারপ্রাইজকে কুলকাঠি ইউনিয়নে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৪৫ টাকার অনুকুলে ৯টি কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর দপ্তরের ২৭৯ নং স্মারকে বিগত ২০ মে ২০০০ইং তারিখ প্রদানকৃত কার্যাদেশে একই বছর ২১জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ঠিকাদার লাভলী আক্তারের সাথে গোপন যোগসাজসে সহকারী প্রকৌশলী (তদারকি কর্মকর্তা) শাহাদাত হোসেন কোন কাজ না করা সত্ত্বেও ‘সম্পূর্ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে’ প্রতিবেদন দাখিল করে বিলের সম্পূর্ন টাকা আত্মসাৎ করেন। সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকরা বর্তমান কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী ঠিকাদার লাভলী আক্তারের এই দূর্নীতির তথ্য-প্রমানসহ সংবাদ প্রকাশ করলে নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলীর টনক নড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে গত ৯ এপ্রিল নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী মীর মোঃ আকতারুজ্জামান ‘পাওতা ধোপা বাড়ির সড়কে ইট সলিং করণ’ প্রকল্পটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি ‘কোন কাজ না হওয়া সত্ত্বেও সম্পূর্ন বিল উত্তোলন করে নেয়ার’ ঘটনার সত্যতা পান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সম্মুখে উপস্থিত এলাকাবাসীকে সম্পূর্ন কাজ করানো আশ্বাস দেন। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার লাভলী আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও ঠিকাদার লাভলী আক্তারের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদকের সাথে ফোন কোন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে সাংবাদিককে তার বাসায় আসতে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি তার স্বামীর (ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু) সাথে আলাপ করে বক্তব্য প্রদান করবেন জানিয়ে ফোন সংযোগ কেটে দেন।
এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী মীর মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বিষয়টি সুরাহার নির্দেশ দিলে গত ২৬ এপ্রিল থেকে তারা ইট সলিং কাজ শুরু করেছেন বলে জানান। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে নিন্মমানের কাজের প্রমান পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
Leave a Reply