কাঠালিয়া প্রতিনিধি।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ডাক্তার তাপশ কুমার তালুকদারের অপচিকিৎসার শিকার প্রসূতী মাহিনুর বেগম এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। সম্প্রতি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার কালে প্রসূতী মাহিনুর বেগমের জরায়ু কেটে ফেলেন ডাক্তার তাপশ কুমার তালুকদার। মাহিনুর বর্তমানে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কাঠালিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের মেয়ে মাহিনুরের মা রুনু বেগম ও স্বামী নিজাম উদ্দিন খান সাংবাদিকদের কাছে ভুল চিকিৎসার ঘটনা তুলে ধরে ডাঃ তাপশের বিচার দাবি করেন।
মাহিনুরকে গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ কাঠালিয়া উপজেলা হাসপাতালে (আমুয়া) নেয়া হলে সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তাপশ কুমার তালুকদার তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন আমুয়া অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে পাঠান। সেখানে ডাঃ তাপশ নিজেই রোগীর পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর সিজার করতে গিয়ে মাহিনুরের জরায়ু কেটে ফেলেন।
রোগী অতিরিক্ত রক্তক্ষরন থামাতে না পেরে ১৫ ডিসেম্বর ডা. তাপশ ক্লিনিক থেকে মাহিনুরের নাম কেটে দিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার পরামার্শ দেন। তখন তারা ক্লিনিকের ছাড়পত্র চাইলে তা না দিয়ে উল্টো ডাক্তার তাপশ ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সাংবাদিক কিংবা প্রশাসনকে জানালে তাদের ক্ষতি হবে বলে শাষিয়ে দেন”। তবে ডাক্তার তাপশ মৌখিক ভাবে তাদের কাছে ভুল চিকিৎসার কথা স্বীকার করে ছিলেন।
বিতর্কিত ডাঃ তাপস কুমারকে অপশারনের দাবিতে কাঠালিয়া নাগরিক ফোরামের উদ্দেগে সাংবাদিক রাজিব তালুকদারের উপস্থাপনায় আজ (৬ জানুয়ারি ২০২২) সকাল ১১ টায় কাঠালিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাঠালিয়া নাগরিক ফোরামের সাভাপতি মোঃ বাদল হাওলাদার, সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম রাসেল সিকদার, সহ সভাপতি লিয়াকত আলী জমাদ্দার, সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহাগ, ভুক্তভোগীর বোন সাহিনুর বেগম এবং এনায়েত হোসেন খরসু জাতীয় পার্টির কাঠালিয়া উপজেলা সভাপতি। এসময় সকলে ডাঃ তাপস কুমারকে বিভাগীয় তদন্ত করে অপশারনের দাবি তোলেন।
Leave a Reply