কাঠালিয়া প্রতিনিধি।
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় উপজেলা উপজেলা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স লক্ষ্মী রানী সরকারের বাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় লক্ষ্মী রানীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আহত হয়। হামলার শিকার পরিবারটি নিরাপত্তা চেয়ে ৯৯৯ কল করে সাহায্য চাইলে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লক্ষ্মী রানী সরকার জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নার্স ডরমেটরীর ২য় তলায় আমার বাসায় সহকর্মী নার্স রাজিয়া খানম এর স্বামী মোঃ সহিদুল আলম শাবু সিকদার ও তার দুই বখাটে ছেলে পিয়াল এবং পিয়াস হামলা চালায়। তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে রুমের জানালা ও গ্যাস ভাংচুর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জীবন নাশের হুমকী দেয়। হামলায় আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আহত হয়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাপস কুমার তালুকদার স্যারকে জানানোর জন্য একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে আরএমও স্যারকে জানালে সে ঘটনাস্থলে আসেন এবং দেখে যান। সহকর্মী নার্স রাজিয়ার স্বামী মোঃ সহিদুল আলম শাবু সিকদার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি ইউএনও স্যার ও সিভিল সার্জন স্যারকে জানিয়েছি। এরআগে একাধিকবার আমার নবম শ্রেণি পড়ুয়া শাওনকে মিথ্যা অপবাদে জড়ানোর চেষ্টা করেছে রাজিয়া ও তার পরিবার।
নার্স রাজিয়া খানমের স্বামী মোঃ সহিদুল আলম শাবু সিকদার জানান, নার্স লক্ষ্মী রানীর কোয়াটারের পিছনেই আমার বাড়ির প্রবেশ পথ। শনিবার দুপুরে বাড়ির প্রবেশ পথে মরা একটি খরগস,মুরগী ও কবুতর ফেলে রাখে লক্ষ্মী রানী। বিকালে তার কোয়াটারের সামনে গিয়ে এগুলো রাস্তার মাঝে কেন রাখা হয়েছে জানতে চাইলে লক্ষ্মী রানী আজে বাজে কথা বলে। তবে লক্ষ্মী রানী মৃত খরগোস ও মুরগী-কবুতর রাস্তায় ফেলে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, নার্স লক্ষ্মী রানী ও রাজিয়া খানম সহকর্মী। এই দুই নার্সের মধ্যে পারিবারিকভাবে দন্ধ¦ চলে আসছিলো। এর জের ধরে শনিবার যে ঘটনাটি ঘটেছে তারা মিমাংসার উদ্যোগ নিচ্ছি। তারপরেও সঠিক তদন্তের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সিদ্বান্ত নিবে।
কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ আলী বলেন, জরুরী পরিসেবা ৯৯৯ থেকে একটি কল আসছিলো, “যে আমুয়া হাসপাতালে সিনিয়র নার্সের বাসায় স্থানীয় লোকজন হামলা করছে।” পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ অফিসার গিয়ে সে রকমের কোন কিছু পায়নি।
Leave a Reply