হারুনুর রশিদ কাহালু( বগুড়া) প্রতিনিধি।
বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা তখন আসন্ন রমজান মাসকে পূঁজি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের যেন লাগাম কোন ভাবেই টেনে ধরা যাচ্ছেনা। সংসারের চাহিদা অনু্যায়ী বাজারে জিনিষ কিনতে আসা মানুষদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের কপালে ভাঁজ পড়লেও সংসারের চাহিদা মিটাতে ক্রেতাদের বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য।
সাধারণ মানুষের আয় না বাড়লেও দ্রব্য মূল্যর দাম বেড়েছে আকাশ ছোয়া। বগুড়ার কাহালু হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমে ৪০ টাকা বিক্রি হলেও ৭০ টাকার মশুর ডাল ১শত টাকা, ছোলা ৭৫ টাকা, চিনি ৭৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ থেকে ১৫ টাকা কমে আসলেও বোতলজাত সোয়াবিন প্রতি লিটার ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেলেও তা বাধ্য হয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিলেও এর প্রভাব খুচরা পর্যায়ে এখনো পড়েনি। ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে। শাক সবজির দামে কিছুটা স্বস্থি এলেও টমেটো ও সিম ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকা,ঢেঁড়স ৮০ টাকা, আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাষির মাংস ৭৫০টাকা, মাছ ২৫০-৬০০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা, ও সোনালী মুরগী ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার দর মনিটরিং না থাকায় বিক্রেতারা ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছেন ক্রেতাদের এমন অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। কাহালু বাজারের পাইকাড়ি মুদি দোকানি মোঃ আরিফ ও আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ জানান, এই মূহুর্তে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির কোন আশঙ্কা নেই। বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারনে সয়াবিন তেলের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে। তাছাড়া দাম বৃদ্ধির আশংকায় অনেক ক্রেতা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্রয় করায় বাজারে এর প্রভাব পড়ে।
Leave a Reply