ঝালকাঠি প্রতিনিধি।
ঝালকাঠির নলছিটি তেতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যিনি সভাপতি তিনিই প্রিজাইডিং অফিসার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ৮ মার্চ সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তেতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মো: বদরুল আলম একই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দ্বৈত পদে নিয়োগ পেয়েছেন। জানা যায়,মোঃ বদরুল আলম নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজারের দায়িত্বে রয়েছেন। একটি সূত্র জানায়, তিনি বিধি বহির্ভূত একটি মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য স্কুলের সভাপতি থাকা সত্ত্বেও প্রিজাইডিং অফিসারের পদে নিয়োগ গ্রহন করেছেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী ফিরোজ আলম জানান, প্রধান শিক্ষক তার ছক মোতাবেক গোপনে নিয়োগ কমিটির প্রক্রিয়া করে রেখেছেন। প্রধান শিক্ষকের সেই নীল নকশার কমিটি বাস্তবায়নের জন্যে একই প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকেই প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। স্থানীয় একটি সুত্র জানায় মো: বদরুল আলম দায়িত্ব পেয়ে তড়িগড়ি করে গোপনে প্রধান শিক্ষকের মনপুত ছক করা কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করেন। ছাত্র অভিভাবকগণ উহা টের পেয়ে তারা প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তড়িগড়ি তফসিল ঘোষনা করে ৫,৬ ও ৭ মার্চ ২০২২ মনোনয়ন দাখিলের তারিখ নির্ধারণ করেন। যাহার ভোটার তালিকা ও প্রধান শিক্ষকের তফসিল ক্লাসে পাঠ করে শোনাননি এবং পরিকল্পিতভাবে নোটিশ বোর্ডে টানানো হয়নি বলে ছাত্র অভিভাবকগন জানায়। বিধি মোতাবেক ৮০দিন পূর্বে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করার বিধাণ থাকলেও তা মানেনি প্রধান শিক্ষক। কারণ করোনা কালিন মহামারির জন্য ২২ জানুয়ারী ২০২২ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সে মোতাবেক প্রধান শিক্ষক ৮০ দিন পূর্বে নির্বচনী কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি। জানা যায় তিনি নির্বাচনী কার্যক্রম ৩১ জানুয়ারী শুরু করেছেন যা বিধি মোতাবেক হয়নি বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও ভোটার তালিকায় প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি বদরুল আলম এর নাম অংকিত সিল মোহর প্রদান করা হয়নি। কিন্তু নাম অংকিত সিল মোহন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এডহক কমিটির সভাপতি ও প্রিজাইডিং অফিসার বদরুল আলমকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, “নাম অংকিত সিল মোহর ভোটার তালিকায় না দেয়া হলে তা সঠিক হয়নি। অবশ্যই নাম অংকিত সিল মোহর ব্যবহার করা উচিত ছিল। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার কোন দোষ ত্রুটি হলে আমি তা সংশোধন করে নিব। প্রয়োজনে আমার উপর অর্পিত প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব ছেড়ে দেবো। তিনি সভাপতি ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব একত্রে পালন করতে পারেন কিনা প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন, শিক্ষাবোর্ডে এ রকম নিয়ম রয়েছে। তবে প্রিজাইডিং নিয়োগের পর সভাপতি হিসেবে কোন কার্যক্রম বা দায়িত্ব থাকে না বলে তিনি জানান।” অথচ তিনি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে ২১ এপ্রিল ২০২২ তারিখ পর্যন্ত বহাল রয়েছেন।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার জানান,একই ব্যক্তি সভাপতি ও প্রিজাইডিং এর দায়িত্ব কেন নিলো তা আমি এখনই খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি আরো বলেন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রিজাইডিং নিয়োগের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে তার তো সতর্ক থাকার কথা ছিল।”
Leave a Reply