ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।
টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নকে আরও আধুনিক ইউনিয়ন গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু ।
সারাদেশে অনুষ্ঠিত ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন তিনি।
মনিরুল হক বাবু ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো গরু গাড়ি প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দী ছিলেন মোস্তফা কামাল। পরে দ্বিতীয় বার ২০১৬ সালে নৌকা প্রতিক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিপল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তৃতীয় বার ইউপি নির্বাচনেও নৌকা প্রতিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মালেক মানিককে পরাজিত টানা তৃতীয় বার ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে হ্যাটিক করেন। মনিরুল হক বাবু অত্র ইউনিয়নের এক সাবেক চেয়ারম্যান এবং রুহিয়ার রুপকার মরহুম নুরুল হক বোম বার্ড সন্তান। মনিরুল হক বাবুর রাজনৈতিক হাতেখড়ি শুরু জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের কারমাইকেল কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৯৯৮সাল থেকে ২০০২পর্যন্ত ।
এর পর দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রুহিয়া ইউনিয়ন কমিটির সক্রিয় সদস্য হন। ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯সাল হতে আওয়ামী লীগ কে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তিনি রুহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন।
ইউনিয়নবাসী সফিরুল ইসলাম সফি জানান,মনিরুল হক বাবু চেয়ারম্যান একজন ভালো মনের মানুষ যে কারও বিপদে তিনি দ্রুত ছুটে যান এবং তিনি ইউনিয়নের জনগণের সুবিধার জন্য সময় দেন। আরেক মাজেদুল ইসলাম জানান, বাবু চেয়ারম্যান এর কাছে হিন্দু, মুসলিম,খ্রিস্টান সবাই সমান এবং তিনি ইউনিয়ন বাসী জন্য যথেষ্ট সময় দেন,ডাকলে আমরা কাছে পাই।
আরেক বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম সুজন ইসলাম জানান মনিরুল হক বাবু চেয়ারম্যান হাওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের মামলা মোকদ্দমা সংখ্যা অনেক কমেছে। আগে অনেক মানুষ হয়রানি মুলক মামলার শিকার হতো।এখন মামলা মোকদ্দমা অনেক কমে গেছে।
চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু প্রতিবেককে বলেন,জনগণ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে পরপর তিন তিন বার বিপুল ভোটে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন এই ইউনিয়নের জনগণ। আমার ইউনিয়নের জনগণের জন্য আমি একাধারে তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি তবে এতে আমার বাবার অবদানের জন্য জনগণ আমাকে ভালবাসে তিনি আরও বলেন আমার বাবাও তিন তিন বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমি চাই আমার ইউনিয়নবাসীর সেবা করে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে।আমি ছাত্র জীবন থেকে জনসাধারণের সেবা করতে পছন্দ করতাম এটাই আমার নেশা ছিল এলাকায় কোন মানুষের সমস্যা হলে দ্রুত ছুটে যাইতাম।
তিনি আরও জানান,তার ইউনিয়নে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক ভোটার রয়েছে। তিনি বলেন,প্রথমবার নিবার্চিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন ও মানব সেবায় আন্তরিক ভাবে ইউনিয়নবাসীর জন্য কাজ করছি। সে কারণে এলাকাবাসী বিপুল ভোটে তৃতীয় বারের মতো জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান নিবার্চিত করেছেন। পরিশেষে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী আমি চাই ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নকে একটি ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে গঠন করতে এবং সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি।
Leave a Reply