নিজস্ব প্রতিবেদক।
বরিশাল নগরীর লঞ্চঘাট টার্মিনাল এলাকায় থ্রি হুইলারের শ্রমিকের উপর ভাটার খাল এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সুমন বাহিনীর অতর্কিত হামলার অভিযোগ ।
নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড ব্যাপিষ্ট মিশন রোডের বাসিন্দা মোঃ নুর আলম কাজীর পুত্র আলফা ড্রাইভার মোঃ সজল (২৫) শ্রমিকে উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।ভাটার খাল এলাকার সুমন বাহিনীর হামলায় আহত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের সূত্রে জানা যায়, ১৯ ডিসেম্বর রবিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্য যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে সুমন ওরফে কইতর সুমন(৪০) পিতা আইয়ুব আলী হাওলাদার। আরমান (৩০) পিতা আনোয়ার হোসেন ভাটার খাল। জামাল (৩৫) পিতা মৃত মোতাহার মাঝী। ইমন (২৩) পিতা আজাহার ওরফে আজু ভাটার খাল। ফয়সাল (২৩) পিতা ফারুক তালুকদার চাঁদমারি মাদ্রাসা রোড কলোনি। কাওসার (২৪) পিতা ফোরকান তালুকদার চাঁদমারি মাদ্রাসা রোড কলোনি।লঞ্চঘাট টিকিট কাউন্টারের সামনে গাড়ী থামিয়ে প্রতি গাড়ি থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন।
এসময় সজল নামের এক শ্রমিক দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় এবং পূর্বের শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কীত ভাবে হামলা চালায়।
আহতের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয় ড্রাইভার ছুটে আসলে সুমন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায় পরে সজলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত সজল কাজী জানান, বরিশালের চিহ্নিত দুইজন শ্রমিক নেতার শেল্টারে বরিশাল নৌ- বন্দরের পার্কিং এলাকায় মাহিন্দ্রা, মিশুক (থ্রি হুইলার) ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাটারখাল এলাকার সুমন ও তার সহযোগীদের নিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। সুমনে বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় আলফা থেকে চাঁদাবাজির একাধিক মামলা থাকায় পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
আরো জানান, গত ২৭ অক্টোবর বরিশাল নৌ-বন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় সাধারণ শ্রমিকরা চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন এসময় আমিও উপস্থিত ছিলাম এরই জেরে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
হামলার বিষয়ে জানতে, আলফা- মাহেন্দ্র শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে অভিযুক্ত সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
আহত পরিবার জানান,বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান,আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, কিন্তু লঞ্চঘাটে হামলার ঘটনা আমি শুনছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসনাতুজ্জামানকে মুঠোফোনে কল দিলে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখতে আছি।
Leave a Reply