নলছিটি প্রতিনিধি।
নবম শ্রেণির এক ছাত্রী কে উত্যক্ত করার ঘটনা পরিবারকে জানানোর অপরাধে মা-মেয়েকে মারধর করে আহত ও শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামে গত ১২ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে স্কুলছাত্রীর মা ১৩ মে শুক্রবার নলছিটি থানায় ইভটিজিং ও হামলাকারী ফেরদৌস হাওলাদারের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ইভটিজিং ও হামলার শিকার স্কুল ছাত্রী (১৫) ও তার মা (৩৫) জানায়, সরমহল গ্রামের হানিফ হাওলাদারের পুত্র মোঃ ফেরদৌস (১৮) এক বছর পূর্ব থেকে সরমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছে। এনিয়ে শিক্ষার্থীর বড় চাচা আঃ ছত্তার (৫৫) বখাটে ফেরদাউসকে সতর্ক করলে সে উল্টো তাকে মারধর করে।
পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যকে অবহিত করলে তিনি ফেরদাউসকে কয়েকবার সর্তক করেন। এরপর সে কিছু দিন চুপচাপ থাকালেও কয়েক মাস ধরে স্কুল ছাত্রীকে পুনরায় উত্যক্ত করতে শুরু করে। নিরুপায় হয়ে গত ১২ মে সকালে স্কুল ছাত্রী বিষয়টি সরকারি নলছিটি ডিগ্রী কলেজের বিএ পরীক্ষার্থী ও বখাটে ফেরদাউসের বোনকে জানায়।
সেই দিন বিকেলে স্কুল ছাত্রী বাড়ীর পার্শবর্তী টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলে ইভটিজার ফেরদাউস ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করে। এসময় সে ডাক-চিৎকার করলে মেয়েকে রক্ষায় মা এগিয়ে আসলে বখাটে যুবক মা ও মেয়ে দুজনকে বেধরক মারধর করে ও শ্লীলতাহানি ঘটায়।
স্থানীয় পথচারীরা টের পেয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর মেয়েটির মা বাদী হয়ে নলছিটি থানায় বখাটে ফেরদৌস হাওলাদার ও তার বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে ইভটিজিং ও হামলার দায়ে অভিযুক্ত সরমহল গ্রামের ফেরদৌস হাওলাদার ও তার পিতা হানিফ হাওলাদারের বক্তব্য জানতে তাদের খোজ করা হলেও না পাওয়ার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ আতাউর রহমান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে ওই ইভটিজারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ইভটিজার তার ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে।
Leave a Reply