জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ-
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ভাড়াটিয়া বাসায় বিয়ের দুই মাসের মাথায় সাথী আক্তার (১৫) নামের এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে পান্জুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুমন কর্মকারের বাড়িতে গত একমাস আগে ভাড়ায় ওঠেন মৃত্যু সাথী ও তার স্বামী জাহিদ। মৃত্যু সাথী ফ্যানের আন্ডার সাথে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেন।মৃত্যু সাথী উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ছইলা বুনিয়া গ্রামের হারুন সরদারের বড় মেয়ে।
সাথীর আত্নহত্যার খবরে তার বাবা হারুন সরদারকে ফোন কলে জানালে তিনি জানান, গত দুইমাস আগে তার মেয়ে সাথী বাড়ি থেকে পালিয়ে পটুয়াখালীর জাহিদ নামের এক ছেলেকে বিবাহ করে। তার মেয়ে সাথী এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী।তিনি আরো জানান, আমার তিন সন্তানের মধ্যে সাথী সবার বড়, একটি মাত্র মেয়ে আমার। ওই ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তী তারা কুয়াকাটায় ভাড়া বাসায় থাকতো। এবং ফোনের মধ্যে কান্না শুরু করে বাবা।
বাসার মালিক সুমন কর্মকার জানান, গত একমাস আগে তার বাড়িতে একটি রুমে ভাড়ায় ওঠে জাহিদ সাথী দম্পতি। আজ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তার বোনের ফোনে জানতে পারে সাথীর রুমের দরজা ভিতর থেকে লাগানো। জানালা দিয়ে তাকে ফ্যানের আংটার ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। পরবর্তীতে মহিপুর থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, পান্জুপাড়ায় এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে সুরতহাল করা হচ্ছে। আত্মহত্যার পূর্বে ভিকটিম একটি সুইসাইড নোট লিখে যায়। আমরা তদন্তের সার্থে আপাতত নোটটিতে লিখিত বক্তব্য গোপন রাখছি। তার নিকটাত্মীয়রা আসলে আমরা লাশ নিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।
Leave a Reply