বরগুনা প্রতিনিধি ::
বরগুনার তালতলীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন চাহিদা মিটাতে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা।
ফোন দিলেই পৌঁছে যাচ্ছে করোনা রোগীর বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার একজন ডাক্তার অক্সিজেন সিলিন্ডারের সেটিং করে দিলেই করোনা রোগী অক্সিজেন নিতে পারবে।
এর আগে গত শনিবার তালতলি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা উদ্বোধন করেন তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির। এই প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ছিলেন জিয়াউল রুবেল।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন লোকমান হোসেন আকন্দ, তারেকুজ্জামান তারেক, ডাঃ দিলিপ রয়, মাহমুদুল হাসান পিন্টু, মিরাজ জোঃ, সাদ্দাম বেপারী, জিয়া উদ্দিন মান্না, দেবাশিষ, রফিকুল ইসলাম অন্তর, ইমরানুল হক তুহিন, দোয়েল ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তারা।
করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৫ টি পালস অক্সিমিটার ও ২ টি নেবুলাইজার মেশিনসহ প্রায় ৩০ প্রকার করোনা ইউনিটের সরঞ্জাম।
স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ইমরান তাহির বলেন, করোনার আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই হাসপাতালে চলে যায়। যারা বাড়িতে চিকিৎসা নেয় তারা আমাদের ফোন করে আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তার বাড়িতে পৌঁছে যাই। সাথে একজন ডাক্তার থাকে তিনি অক্সিজেন সিলিন্ডার টি সেটিং করে দেয়। যদি পরবর্তীতে আবার প্রয়োজন হয় আমাদের তখন আবার আমাদের ফোন দিলে আবার আমরা পৌঁছে যাব। সম্পূর্ন বিনামূল্যে করোনা আক্রান্ত রোগীরা অক্সিজেনের সেবা পাচ্ছে।
এই প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ও স্কুল শিক্ষক জিয়াউল রুবেল বলেন, তালতলীতে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গত এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তালতলি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা সরঞ্জাম সংকটের ছিলো। এ অবস্থায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের অর্থায়নে প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা মূল্যে এসব সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়।
তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির বলেন, স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের এমন উদ্যোগে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার তারা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে করোনা রোগীর বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা পাচ্ছেন। তাদের পাশে থেকে আমি গর্ববোধ করছি ভালো কাজের পাশে সবসময় ছিলাম থাকবো।
Leave a Reply