মোঃ শহিদুল ইসলাম ঃ-
সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ শেষে টানা ১৯ দিন পর সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও আজ থেকে খুলছে প্রায় সব সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও শপিংমল এবং গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়ীদের দোকান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন সরকার। তবে পর্যটন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না।গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও সব ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অফিস-আদালাত ও দোকানপাট চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটে অর্ধেক গণপরিবহন চলবে। তবে সরকার পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপণিবিতান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা খোলা থাকবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,সকাল থেকেই ধুয়ে মুছে দোকান পাট খুলছেন ব্যবসায়ীরা, স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।একাধিক দোকানদারদের সাথে কথা হলে তারা জানান,১৯ দিন পর দোকান খুলতে পারায় আনন্দ লাগছে, রুজিরোজগার বন্ধ থাকায় অনেক কস্টে দিন কাটছে এমনটাই ব্যক্ত তাদের। উল্লেখ্য,করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গত ২৮ জুন থেকে সীমিত আকারে বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেদিন থেকেই সারা দেশের দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। ঈদের ব্যবসার জন্য আট দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকার। তাতে ঈদের আগে ছয় দিন বেচাবিক্রির সুযোগ পান ব্যবসায়ীরা। অনেকে ঈদের দিন ও তার পরদিনও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখেন। ২৩ জুলাই থেকে আবার ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে সেটি ১০ আগস্ট, অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে না কমলেও ৮ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চলমান বিধিনিষেধে না বাড়ানোসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, দোকানপাট ও বিপণিবিতান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বিধিনিষেধে খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকলেও ভেতরে বসে খাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
Leave a Reply