বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ-
বাকেরগঞ্জে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশে ব্রিজের সরকারী সম্পত্তি দখল করে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা একের পর এক স্থাপনাগুলো নির্মাণ করলেও দেখার যেন কেউ নেই। বরিশাল-পটুয়াখালি মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্টান্ডের ব্রিজের ঢালের বাঁধের উপর দেখা গেছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা নির্মাণের চিত্র। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের দক্ষিণ পাশে সরকারী সম্পত্তি দখল করে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা, এতে ব্রিজের উঁচু রাস্তার বাঁধগুলো অচিরেই ভেংগে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনেও একই চিত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দোকানদারদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকালে তারা বলেন-আমরা ব্রিজের ঢালের পাশে সরকারি যায়গায় নিজেদের টাকায় ঘর নির্মাণ করেছি স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায়। তাই নেতাদের দিতে হচ্ছে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে। টাকা না দিলে দোকান থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি ও দেয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী মহল এসব স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলেও রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কেউ এগিয়ে আসেননি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সবকিছুই দেখে ও জানেন কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাহলে অর্জিত এই অবৈধ অর্থের সাথে উপজেলা প্রশাসনের লোকজন জড়িত আছে এমনটাই বললেন স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন।
এমনকি ব্রিজের উত্তর পাশে পোল্ট্রি মুরগির দোকান সেখানে মুরগির বজের্যর কারনে পথচারীদের চলাচলে দূরভোগের শেষ নেই। বাজারের মধ্যে একটি মাত্র ড্রেন তা এই ময়লা আবর্জনার জন্য আটকা পড়েছে, ময়লার দুর্গন্ধের কারণে মানুষ চলাচলে যথেষ্ট কষ্টকর। যদিও কাঁচা বাজারের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট স্থানে পোল্ট্রি মুরগির মাংস বিক্রির জায়গা রয়েছে। তবুও সুন্দর পরিবেশটিকে দূষিত করার জন্য কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায় বলেন- এই দোকান গুলোর কারনে ব্রিজের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, এবং ব্রিজের রাস্তাটি খতিগ্ৰস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এগুলো অচিরেই উচ্ছেদ করা হবে।
Leave a Reply