বানারীপাড়া প্রতিনিধি।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মো. সেলিম হোসেন বেপারী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগ এনে মানববন্ধন করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) প্রেসক্লাবে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ করেণ সোমবার (২৫ অক্টোবর) সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার বাজারে আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহা করা সুবিধাবাদী কথিত গুটি কয়েক লোক একটি মানববন্ধন করে। যে মানববন্ধনে কথিত আওয়ামী লীগ নামধারী বজলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শহিদুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা ছালাম বালী, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম বেপারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জড়িয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। যে বক্তব্য তার ও আওয়ামী লীগের জন্য মানহানিকর বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেণ।
আরও বলেন, তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। তার রাজনীতির দীর্ঘ সময়ে কখনও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ এবং নিয়মের বাইরে গিয়ে কোন কর্মসূচি করনেনি। জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বাইরে কখনও তিনি ও তার পরিবার যাননি। বর্তমানেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে তিনিসহ তার পরিবার রাজপথে উজ্জীবিত রয়েছেন। মূলত দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সৈয়দকাঠির নাম রয়েছে। এ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মন্নান মৃধা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সেলিম বেপারী তার একজন শুভাকাঙ্খি হিসেবে তিনি মনোনয়ন পান সেটা চেয়েছিলেন। তবে এই নির্বাচনে শান্তি,সম্মৃদ্ধি,উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক তুলে দেয়া হয় সাবেক উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মো. আনোয়ার হোসেন মৃধার হাতে।
যেখানে নৌকা সেখানেই আছি,ছিলাম ও থাকবো। তার পরেও আনোয়ার হোসেন মৃধা তাকে মুঠোফোনে কল করে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় সামিল হতে বলেন। উত্তরে সেলিম বেপারী জানান, প্রতীক বরাদ্ধ হবার পরে ধারাবাহিকভাবে প্রচারে এবং উঠোন বৈঠকে অংশ নিবেন। এ পর্যন্তই নৌকার প্রর্থীর সাথে তার কথা হয়। তবে প্রার্থীর সাথে থাকা কিছু ভিন্ন মতের লোক তাকে ফুসলিয়ে সেলিম বেপারীর নামে বানারীপাড়া থানায় সম্প্রতি একটি সাধারণ ডাইরী করান। এছাড়াও সোমবার (২৫অক্টোবর) তাকে ও আওয়ামী লীগ সংগঠনকে হেয় প্রতিপন্ন করে একটি মানববন্ধন করান ওই একই চক্র। ওই মানববন্ধন থেকে আরও বলা হয় সেলিম বেপারীকে সৈয়দকাঠিতে ডুকতে দেয়া হবেনা।
এ বিষয়ে সেলিম বেপারী সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, তার নানা বাড়ি সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মাঝকোলা হাওলাদার বাড়ি। এছাড়াও এই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে তার রক্তের আত্বিয়-স্বজনরা রয়েছেন। এ কারনেই তার বাড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে হওয়া সত্যেও ছোট বেলা থেকেই সৈয়দকাঠিতে তার অবাধ বিচরণ ও অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। এর সুবাদেই গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধার নির্বাচনের সময় নৌকার প্রচার-প্রচারণা ও সবকটি উঠোন বৈঠকে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ,সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের সাথে একত্রিত হয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে জয়লাভ করান। আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে কোন নির্বাচন করার সাহস তার ও পরিবারের কারো নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেণ সংবাদ সম্মেলনে।
মানববন্ধনে সেলিম বেপারী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য যাচাই-বাচাই পূর্বক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে জোর দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। এছাড়াও কথিত কতিপয় সাংবাদিক নামধারী মানববন্ধনের সংবাদে সেলিম বেপারীর নাম ব্যঙ্গ করায় এবং তাকে ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ ও প্রদান করায় তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও উল্লেখ করেণ।
Leave a Reply