বানারীপাড়া প্রতিনিধি ঃ-
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ফারুক সরদার তাকে হয়রানি করার অভিযোগ এনে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় তিনি তার আত্বিয় স্বজনদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেণ। এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নরোত্তমপুর গ্রামের আবু হাওলাদারের ছেলে নাঈম ইসলামের সাথে দীর্ঘ বছর পর্যন্ত বিরোধ চলে আসছে।
যা নিয়ে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যার দেওয়ানি নং-১/১৬। এছাড়াও মামলার পাশাপাশি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শালিস মিমাংশা হয়েছে। যার রোয়েদাত দেওয়া নিয়ে এক পর্যায়ে পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে মত বিরোধের সৃষ্টি হয়। এজন্যই মান্য শালিসগন রোয়েদাত দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে বলেও ফারুক সরদার জানান।
তিনি আরও জানান, এই রোয়েদাতকে কেন্দ্র করেই আবু হাওলাদারের ছেলে নাঈম ইসলাম হাওলাদারের সাথে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এদিকে নাঈম যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়ির জমি ফারুক সরদারের মেঝ ভাই ফিরোজ সরদারের কাছে নাঈম ইসলামের পিতা আবু হাওলাদার বিক্রি করে দেন। সেই দলিলের পরিচিতও নাঈম ইসলাম।
সেই জমির ওপরে যে ঘরখানা ছিলো সেই ঘরেই নাঈম ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতো। ফারুক সরদার ও তার ভাই ফিরোজ সরদার নাঈমকে বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) সকালে ঘর ছেড়ে দেয়ার কথা বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর ছাড়তে অপরাগতা জানায়। এর আগেও কয়েকবার ঘর ছাড়তে বললে নাঈম তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
ফিরোজ সরদার জানান, সেই হুমকি থেকেই নাঈম ইসলাম তার বড় ভাই ফারুক সরদারের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীকে বাদী করে বানারীপাড়া থানায় শ্লীলতাহানীর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেণ। ওই অভিযোগের সাথে তার ভাইয়ের (ফারুক সরদারের) কোন প্রকার যোগসূত্র নেই। কেবলমাত্র জায়গা ও ঘর ছাড়বেনা বলেই তাদেরকে অহেতুক হয়রানী করছে।
এদিকে ব্যপারে নাঈম ইসলামের একই বাড়ির তার আপন চাচাতো ভাই জামাল হাওলাদার বলেন, যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে তারা তা শুনতে পায়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাঈমের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তার নাম্বার বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া যাইনি।
Leave a Reply