শফিক শাহিন,বানারীপাড়া প্রতিনিধি :: বরিশালের বানারীপাড়া সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি ফসলি জমি সহ সর্বহারা হচ্ছে শত শত পরিবার। চোখের সামনে কৃষকের একমাত্র সম্বল ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর তা চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে অসহায় কৃষককে ও বাড়ির মালিকদের বানারীপাড়া সন্ধা নদীর ভাঙনে শত শত বাড়িঘর, মসজিদ, বিদ্যালয়, হাটবাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ হারিয়ে যাচ্ছে।
বানারীপাড়া উপজেলায় ৮ টি ইউনিয়নের ৫ টি ইউনিয়নই সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে। বাইশারি ইউনিয়ন ও সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের বেশির ভাগই নদীতে বিলিন হয়েছে এখনও প্রতিনিয়ত ভাঙনের কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা বহু পরিবার।
জানা গেছে যুগ যুগ ধরে সর্বস্ব হাড়িয়ে ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে অনেক পরিবার। সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ইতিমধ্যে সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি, নলেশ্রী, বাংলাবাজার,বাইশারী ইউনিয়নের বড় খেয়াঘাট দান্ডুয়াড,শিয়ালকাঠি পশ্চিম নাজিরপুর, নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে এবং এই সব এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও চাখার ইউনিয়নের লস্করপুর,চিরাপাড়া,দাসেরহাট কালির বাজার ।সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের খেজুরবাড়ি,গোয়াইলবাড়ি,।সদর ইউনিয়নের জম্বুদ্বীপ, ব্রাহ্মণকাঠি, কাজলাহার থেকে
স্বরুপকাঠী সিমানা পর্যন্ত ও ইলুহার ইউনিয়নের মধ্য মলুহার থেকে মইশকাঠালি হয়ে স্বরুপকাঠীর সিমান পর্যন্ত এবং ডুমুরিয়া থেকে বাইশারী ইউনিয়নের সিমানা পর্যন্ত ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ভাঙ্নকবলিত এলাকায় এখনও অনেক পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়স্থলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।
এদিকে বাইশারী ইউনিয়নের দান্ডুয়াড খেয়াঘাট ও সৈয়দকাঠীর নলেশ্রীতে কিছু অংশে জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে ফেলা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বেপরোয়া বালু উত্তলনের কারনে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন তিব্র হচ্ছে।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা বলেন নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply