ডেক্স রিপোর্ট।
ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামের মৃত্যু সাদেম আলী বেপারীর বিধবা প্রতিবন্ধী মেয়ে সাফিয়া বেগম (৬৮) এর পৈতৃক সম্পত্তিতে নির্মিত নতুন বসত গৃহ ৪ এপ্রিল বিকেল ৫ টায় ভেঙ্গেচুরে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে প্রতিবেশী গ্রাম পুলিশ আলমগীর ব্যাপারী ।
সাফিয়া কর্তৃক রাজাপুর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, প্রতিবেশী আলমগীর চৌকিদার আমার (সাফিয়ার) নিকট একত্রে চালিত মামলার খরচ বাবদ ৫০০ টাকা দাবি করে, উক্ত টাকা হইতে আমি অভাবি ভিক্ষুক মানুষ ২০০ টাকা দিয়েছি, বাকি ৩০০ টাকা পরিশোদ করতে বিলম্ব হওয়ায় ০৪/০৪/২০২২ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৫ ঘটিকার সময় প্রথমে আলমগীরের স্ত্রী রুনু বেগম (৪০) এসে আমার নবনির্মিত বসত গৃহের সামনে দাড়িয়ে পাওনা ৩০০/ টাকা দাবি করে, আমার কাছে কোন টাকা নাথাকায় তিনদিন পর দিবো বলে অনেক অনুনয়-বিনয় করে বলতে ছিলাম, এরই মধ্যে আলমগীর বেপারী, তার পুত্র আল আমিন (২০) ও তাদের দুই কন্যা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া হাতুড়ি, শাবল ও বাংলা-দা দিয়ে আমার নবনির্মিত বসত গৃহ ভাংচুর করিয়া মাটিতে মিশিয়ে দেয়, এতে আমার একমাত্র ছেলে মামুন বাধা দিতে গেলে তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায় আলমগীর ও তার স্ত্রী রুনু বেগম। এ অবস্থায় পুত্র মামুনসহ আমাদের জীবন রক্ষার জন্য আমি ও আমার তিন স্কুল পড়ুয়া শিশু নাতনি স্ব-জোড়ে চিৎকার করিলে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসিরউদ্দিনের মা ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছালমা বেগম এসে আামাদে উদ্ধার করেন, এতোক্ষণে আমার নবনির্মিত বসত গৃহ পুরো ভেঙ্গে ফেলে গ্রাম পুলিশ আলমগীর বেপারী ও তার পরিবারের লোকজন।
পরের দিন থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর বিবাদীরা জানতে পেরে আরো ক্ষিপ্ত হয় সোফিয়ার উপর, সাফিয়া বাড়িতে আসিলে ইফতারের সময় বিবাদী রুনু ও চল্লিশ কাহনিয়া নিবাসী তার চাচতো দেবর সাফিয়ার বাড়িতে আসিয়া আগামীকাল বসত গৃহের মাটি ছালাইয়া ফেলা হবে মর্মে হুমকি দিয়ে যায়। ০৫ এপ্রিল দিবাগত রাত্র আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় দুইজন পুলিশ আসেন ঘটনাস্থল সাফিয়ার বাড়িতে এবং সফিয়াকে সান্তনা দিয়ে বলে যান আমরা আছি আপনার সাথে আপনার কোন ভয় নাই, আগমী কাল সকাল ১০ ঘটিকায় আবার পুলিশ এসে আপনার বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতপর সকাল ১০ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে এএসআই দুলাল এর নেতৃত্বে দুইজন পুলিশ এসে স্থানিয় ইউপি সদস্য মোঃ রাসেল ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ছালমা বেগমকে সালিশ মনোনীত করে দিয়ে চলে যায়, এতে সাফিয়া ও তার ছেলে মামুন অসম্মতি জানায় । পুলিশ স্থান ত্যাগ করার পর পর-ই বিবাদী আলমগীর বাদীকে ও বাদীর ছেলেকে হত্যা এবং বাদীর নাতনিনাতি ইজ্জত নষ্ট করার হুমকি দেয়, অন্যথায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা ছাড়বি।
এ বিষয়ে স্থানিয় ইউপি সদস্যদের নিকট জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এএসআই দুলাল এর নিকট সর্বশেষ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার এক সিনিয়র অফিসার নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply