হিজলা প্রতিনিধি।
বরিশালের হিজলা উপজেলার গরু চোরের স্বর্গরাজ্য হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গৌরবদী ইউনিয়নের চর বিশর, চর হিজলা চর কুসুরিয়া ও দেবুয়া সহ কয়েকটি জায়গা।
দীর্ঘ এক যুগ যাবৎ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু চুরি করে এসব এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চোরাই গরু রেখে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে চোরচক্র।
গত ৫ এপ্রিল চরকুসুরিয়া গ্রামের আব্দুর রহিম বেপারীর ছেলে কালাম বেপারির বাড়ি থেকে ৬ টি গরু স্থানীয়দের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিজলা থানা পুলিশ উদ্ধার করলেও গরুচোর কালাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় কোনো মামলা হয়নি।এর আগেও কালাম এর বাড়ি তথা কালামের বিভিন্ন আস্তানা থেকে বিভিন্ন সময় অর্ধশতাধিক গরু উদ্ধার করে হিজলা থানা পুলিশ।
উদ্ধারকৃত গরু গুলো থানা পুলিশের মাঝি মফিজএর মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়। যা অনেক সময় সিজার লিস্ট ও থাকেনা।
মাত্র দুই মাস পূর্বে হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের একতা বাজারে কালাম ও তার প্রধান সহযোগী সবুজ চোরাই গরু জবাই করে প্রকাশ্য বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলে ।কিন্তু গরু চোর বারবার পার পেয়ে যাওয়ার কারণ এখন খুঁজে দেখা যায় স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে এই চোর চক্রের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। এসব চোরের বিরুদ্ধে কয়েক দফায় শালির দরবার করে অর্থ আদায় করে ফায়দা লোটার অভিযোগ রয়েছে। শুধু সেখানেই ক্ষান্ত নয় হিজলা থানায় তদবির করে ঐ সকল জনপ্রতিনিধিরা এসকল চোরদেরকে রক্ষা করে আসছে যা কারো অজানা নয়।
এসকল তথ্য খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের নজরে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায় হিজলা থানার কতিপয় পুলিশ অফিসারদের সাথে এই চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই।
গতবছর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাজাহান হোসেন গৌরবদী ইউনিয়নের পাশের ধুলখোলি ইউনিয়নের মাটিয়ালা গ্রামের চিহ্নিত গরুচোর বোবা রতনের আস্তানায় হানা দিয়ে ৭৪ টি গরু ও মহিষ উদ্ধার করে।
গরুচোর কালামের নিকট মুঠোফোনে তার বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত গরু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলে এ বিষয়ে আপনাদের জেনে কি হবে অনেক নেতারাই এর সাথে জড়িত কালাম আরো জানায় আগে গরু গুলা বোবা রতনের ছেলে লিটন রাড়ি র মাধ্যমে আনা হতো ওই সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত রয়েছে মাছ ঘাটের সরকার এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এমনটাই বলছে গরুচোর কালাম।
Leave a Reply